ePayra | Best Digital Marketing Agency in Bangladesh

epayra

ফেইসবুক ব্যবসায়ে উদ্যোক্তাদের কিছু ভুল এবং তার সমাধান।

ফেইসবুক ব্যবসায় বা F-Commerce নিঃসন্দেহে  বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম।  নতুন উদ্যোক্তারা খুব সহজেই অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারছে। এই দিকটি অত্যন্ত ভালো , কিন্তু এরকম নতুন নতুন উদ্যোগ আবার কিছু সময় পর ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

 

এই কথাটি সঠিক যে ফেইসবুক এর মাধ্যমে যেকোন ব্যবসা বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে খুব সহজেই এবং তা অফলাইন ব্যবসার চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।  তাই অনেকে নতুন ব্যবসা শুরু করার পর মোটামুটি একটা ভালো অংকের পুঁজি ফেইসবুক এডস এ খরচ করে। অনেক ক্ষেত্রে শুরুতেই খুব ভালো ফলাফল আসে কিন্তু যতদিন যায় পর্যায়ক্রমে তা কমতে থাকে।

 

জ্বি , এই অভিযোগটি প্রায়সই অনেক উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে দেখা যায় ওনারা ব্যবসা গুটিয়ে বসেছেন। এক্ষেত্রে আমরা বিশেষ কিছু কারণ লক্ষ্য করেছি , সেগুলো হলো – 

১. দ্রুত ফলাফল আশা করা : এক্ষেত্রে দেখা যায় উদ্যাক্তাগণ গতানুগতিক ধারা এড প্লেস করে থাকেন , যার একমাত্র  উদ্দেশ্য সেল এনে দেওয়া। আসল কথাটি হলো এই জায়গাটিতে মার্কেটিং এর কোন নীতি মেনে চলা হয় না।

প্রথম দিন থেকেই সেল এর উদ্দেশ্যেই এড গুলো রান করা হয় , সেল যদি আসে তাইলে এড ভালো হয়েছে না হলে ভালো হয়নি।  আমরা বলতে চাই এই ধারণাটি একেবারে ভুল, প্রতিটি ব্যবসায় মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং এর সঠিক চর্চা আপনার ব্যবসার কোন না কোন উপাদানে রাখতেই হবে।

আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন কোন ভালো একজন চা বিক্রেতা তার চায়ের মাধ্যমে খুব সুচারুরূপে ব্র্যান্ডিং করে থাকে। ওনার হয়ত ব্র্যান্ডিং সম্পর্কে বিন্দু মাত্র ধারণা নেই কিন্তু ওনার চা কিভাবে সবার চেয়ে ভালো , সুস্বাদু এবং আলাদা করা যায় সেই কনসেপ্ট সম্পর্কে তিনি ক্লিয়ার।

২.ইনবক্সে পেশাদারিত্বের অভাব : এটি সহজ একটি প্রক্রিয়া , কিছু বেসিক ধারণা নিয়েই এটি সুচারুরূপে সম্পাদন করা যায়। একটু পেশাদারি আলাপচারিতাই অনেকংশে যথেষ্ট , এটি যদি সঠিকভাবে মেনে চলা যায় তাইলে ক্লাইন্ট রিটেনশন  রেট আপনার বাড়তেই থাকবে যা আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসেবে এড করবে।

অনেকসময় দেখা যায় পেইজ প্রফেশনালি সেটআপ করা এবং খুব নজরকাড়া ডিজাইন থাকা সত্বেও ইনবক্সে ক্লাইন্ট এর সাথে আলাপচারিতায় অপেশাদারিত্ব  খুব বাজে প্রভাব ফেলে।  যার ফলে সেল কমতে থাকে এবং কাস্টমার রিটেনশন কমতে থাকে।

৩.প্রাইসিং ডিসিশান : অফলাইন এর চেয়ে অনলাইন ব্যবসায় প্রাইসিং টা কৌশল অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।  মনে রাখতে হবে আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন আপনাকে প্রথমে প্রাইসিং এর দিক দিয়ে সহনশীল হতে হবে।

কারণ আপনি হয়ত যে প্রডাক্টটি সেল করছেন তার অনেক বিক্রেতা আছে যারা আপনার প্রতিযোগী।  তাই সঠিক মার্কেট রিসার্চ এর মাধ্যমে এই দিকটির দিকে নজর রাখতে হবে যাতে ফাস্ট ইম্প্রেশন এ ক্রেতা সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা যায়।

৪. ডেলিভারি সিস্টেম : এই দিকটি অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ফেইসবুকে ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেকে এডভান্স পেমেন্ট করতে চায় না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ক্যাশ অন  ডেলিভারি সিস্টেম রাখতে হবে।

তাই উপরোক্ত প্রতিটি বিষয়ে যদি মেনে চলা যায় , তাইলে একটি সফল ফেইসবুক ব্যবসায়ের মাধ্যমে দারুন একটি উদ্যেগক্তা জীবন শুরু করা কোন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় না।  

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top